স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সবার ব্যক্তিপরিচয়ের অধিকার রয়েছে। মা-বাবার নাম লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখানেই। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এবং মৌলিক মানবাধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন বিষয়টি অনুধাবন করেছেন, যা যুগোপযোগী, ভিন্নধর্মী এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ আয়োজিত ‘ভোটার তালিকায় পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণে জটিলতা নিরসন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে, যা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, কোভিডকালীন নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুস্থ মানুষের কাছে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তথ্য উপস্থাপন ও সংরক্ষণের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজভিত্তিক। প্রতিবন্ধী, হিজড়া, চা-শ্রমিকসহ সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে এ ডাটাবেজ আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। সব কাজেই এখন জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহৃত হচ্ছে।
মা-বাবার পরিচয় লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জটিলতা নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নদী বন্দর / বিএফ