ভারতের গুজরাটের সুরাট জেলায় একটি কারখানার কাছে রাখা ট্যাঙ্কার থেকে রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ায় ৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০ জন। বৃহস্পতিবার ভোরের ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজার।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে গুজরাট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (ডিআইডিসি) সচিন এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তারা সকলেই সুরাটের ওই এলাকার একটি শাড়ি কারখানার শ্রমিক বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় ডিআইডিসি এলাকায় একটি রাসায়নিক ভর্তি ট্যাঙ্কার থেকে বর্জ্যপদার্থ বের করে নর্দমায় ফেলার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্যাঙ্কারে ক্ষতিকর রাসায়নিক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাতাসের সংস্পর্শে আসা মাত্রই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কাছেই একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন বহু শ্রমিক। সে সময় তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই ছয়জনের মৃত্যু হয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুরাট পুলিশ। দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়েছে ওই ট্যাঙ্কারের চালক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বডোদরা থেকে একটি ট্যাঙ্কারে করে রাসায়নিক নিয়ে আসা হয়। তদন্তকারীদের ধারণা, বৃহস্পতিবার ভোরে অবৈধভাবে ডিআউডিসির নর্দমায় রাসায়নিক বর্জ্য ফেলছিলেন ট্যাঙ্কারের চালক। সে কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।