‘ওয়াচ ইট’, ‘ওয়াচ ইট’- বারবার শুধু এ শব্দ দুটিই শোনা যাচ্ছিলো সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আউটার মাঠ থেকে। মূল মাঠে তখন লড়ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশাল। বাইরের মাঠে দলীয় অনুশীলনে একের পর এক ছক্কায় সবার মুখ থেকে ‘ওয়াচ ইট’ শব্দ দুইটিই বের করছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার উইল জ্যাকস।
সতর্ক-সাবধানী থেকে মাঠ কিংবা আউটারের ছাদে থাকা মানুষরা নিজেদের বাঁচিয়েছেন জ্যাকসের ছক্কার হাত থেকে। কিন্তু জড়ো বস্তুর কি আর সাধ্য আছে বল দেখে সরে যাওয়ার? তা সম্ভবও হয়নি। এ ইংলিশ মারকুটে ওপেনারের এক বিশাল ছক্কায় ভেঙে গেছে মিডিয়া সেন্টারের ছাদের একটি কাচ। অন্তত গোটা পাঁচেক ছক্কা ছাদে পাঠিয়েছেন জ্যাকস।
বেলা ১১টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২’তে অনুশীলন শুরু করেছিল চট্টগ্রাম। গা গরমের কিছু হালকা অনুশীলন শেষে শুরু হয় ব্যাটিং-বোলিং চর্চা। দুপুর ১২টার পরপর ডানদিকের নেটে ব্যাট হাতে ঢোকেন জ্যাকস। সেখানে বোলিং করছিলেন স্পিনাররা।
সেই স্পিনারদের বিপক্ষে নিজের ব্যাটকে তরবারির মতোই চালিয়েছেন চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জ্যাকস। তার একটি ছক্কা উড়ে এসে লাগে মিডিয়া সেন্টারের ছাদে থাকা একটি টিভি ক্যামেরার ট্রাইপডে। যা নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের টিম স্টাফদের মধ্যে কিছুক্ষণ খুনসুটিও চলে।
এর খানিক পর মূল মাঠে যখন ব্যাটিংয়ে নেমে যান বরিশালের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ার, তখন প্রেসবক্সে উপস্থিত সাংবাদিকদের নজর কেড়ে নেন জ্যাকস।
বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান তিনি। যা কি না ছাদের ছাউনির ওপর দিয়ে এসে আঘাত করে মিডিয়া সেন্টারের দরজার ওপরের কাচে। সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে চুরমার হয় সেটি।
আরও কিছুক্ষণ ব্যাটিং করেন জ্যাকস। কাঁচ ভাঙার পর আরও একটি ছক্কা ছাদে তোলেন তিনি। এরপর জ্যাকসের জায়গায় সেই নেটেই ব্যাটিং শুরু করেন ক্যারিবীয় ওপেনার কেনার লুইস। জ্যাকসের মতো কাঁচ ভাঙেননি তিনি। তবে তার একটি ছক্কায় উড়ে আসা বল ছাদে থাকা ভেন্যু ম্যানেজার জয়দেব দাসের গায়ে আঘাত করে।
নদী বন্দর / সিএফ