দুটি দলের মধ্যে বেশ কয়েকটা মিল দেখা যাচ্ছে। দুটি দলেরই এবার প্রথম আইপিএল। দুটি দলই ১১টা ম্যাচ খেলে আটটায় জিতেছে। দুটি দলই প্রায় পৌঁছে গেছে প্লে-অফে।
আজ মঙ্গলবার পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে সেই দুই দল— লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাট টাইটান্স। এই ম্যাচে যে জিতবে, প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করবে তারা।
তবে দুটি দলের মধ্যে অমিলও আছে। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে ছন্দে আছে কে এল রাহুলের লখনউ। অন্যদিকে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্স। এই ম্যাচে দেখা যাবে দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। হার্দিক বনাম ক্রুণাল। যা একটা বাড়তি আকর্ষণ এনে দিচ্ছে এই দ্বৈরথকে।
কলকাতাকে হারানোর পরে লখনউ ড্রেসিংরুমে দলীয় ঐক্যের প্রশংসা করে বক্তব্য রেখেছিলেন লখউয়ের স্পিন বোলিং কোচ নরেন্দ্র হিরওয়ানি। গণমাধ্যমে তুলে ধরা লখনউয়ের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে দলের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে ভারতের সাবেক লেগস্পিনার বলছেন, ‘আমাদের দলে একটা জিনিস আমি খুব বেশি দেখতে পাচ্ছি, একাত্মবোধ। সবাই সবার সাফল্য উপভোগ করছে। সবাই যদি নিজের কথা ভাবত, তাহলে চাপে পড়ে যেত। কিন্তু যেহেতু সবাই দলের কথা ভাবছে, তাই খোলামনে খেলতে পারছে। ’
লখনউয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা, দলের ভারসাম্য। ব্যাটাররা যেমন ছন্দে আছেন, বোলাররাও সাফল্যের মুখ দেখছেন। অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া উপযুক্ত ভারসাম্য এনে দিয়েছেন দলে। মহসিন খানের মতো তরুণ ফাস্ট বোলার চমকপ্রদভাবে উঠে এসেছেন। সঙ্গে আছেন আবেশ খান এবং দুষ্মন্ত চামিরার মতো পেসার। ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়ক রাহুল তো ছন্দে আছেনই, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ফর্মে ফিরে এসেছেন আর এক ওপেনিং ব্যাটার কুইন্টন ডি’ককও।
নদী বন্দর/আরএম