জ্বালানি আমদানি করার মতো কোনো অর্থ এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার হাতে নেই। দেশটির অর্থনীতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এমনকি এক জাহাজ পেট্রল আমদানির সামর্থ্যও নেই দ্বীপ রাষ্ট্রটির। ফলে শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের পেট্রলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা বুধবার সংসদে বলেন, আমাদের জলসীমায় একটি পেট্রল জাহাজ রয়েছে। তবে আমাদের হাতে আর কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা আশা করছে দু-একদিনের মধ্যে জাহাজটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পেট্রলের আগের চালানের জন্য একই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পাঁচ কোটি ডলারেরও বেশি পাবে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, তাদের হাতে আর মাত্র একদিনের পেট্রল মজুত আছে। সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানান তিনি।
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ–সহিংসতার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। দেশকে এই সংকট থেকে বের করে আনতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
দেউলিয়া দেশটি আসন্ন মাসগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের কঠিনতম হবে। এই সময়ে আত্মত্যাগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে। সত্য আড়াল করা এবং জনগণের কাছে মিথ্যা বলার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত তলানিতে নেমে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ।
নদী বন্দর/এসএফ