চাটমোহরে অকালবন্যায় তলিয়ে যাওয়া বোরো ধান নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। ধান কেটে ডাঙ্গায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। এমনিতে শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। পানিতে তলিয়ে যাওয়া বোরো ধান কেটে নৌকা ও পলিথিনের ভেলায় তুলে ডাঙ্গায় নিয়ে আসা হচ্ছে। উপজেলার ছাইকোলা ও নিমাইচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
ছাইকোলা ইউনিয়নের বিলচলন দ্বিমুখী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানালেন, তার স্কুলের ছাত্ররাও ধান কাটছে। প্রতিদিন তারা ১ হাজার টাকা করে আয় করছে। ফলে স্কুলে আসছে না। কারণ কৃষিশ্রমিক না পাওয়ায় মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ধান।
কৃষকরা জানালেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গুমানী ও চিকনাই নদী হয়ে পানি ঢুকেছে চলনবিলে। পানিতে চাটমোহর উপজেলার বিল এলাকার জমির পাকা ইরি-বোরো ধান ডুবে গেছে। ধানকাটা শ্রমিকের অভাবে তাদের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, চাটমোহরে এবার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাকা-আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। পানিতে ধানের জমি তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষিশ্রমিকের চরম সংকট চলছে। বিলে বন্যার পানি ঢুকে বিল এলাকার জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএফ