ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। বন্যাকবলিত এলাকায় এখনো একশ জনের মতো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তারাও বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ মে) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
গত পাঁচ মাসের মধ্যে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এটি চতুর্থ বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হতে পারে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন।
জানা গেছে, বন্যা ও ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির পার্নাম্বুকো রাজ্য। রোববার বিকালে এই রাজ্যটিতে ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অন্যদিকে, প্রতিবেশী রাজ্য আলাগোসে মারা যান একজন।
দুর্গত এলাকায় জরুরি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দেশটির ফেডারেল সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস এক টুইটার বার্তায় জানায়, পার্নাম্বুকো রাজ্যটিতে এখনো ৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুটি রাজ্যে সরকার-নির্ধারিত ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টে পৌঁছেছে ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া আরও প্রায় সাত হাজারের বেশি মানুষ বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, সোমবার সকালেই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যটির রাজধানী রেসিফে যাবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ডিসেম্বরের শেষে ও জানুয়ারির শুরুতে, উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলে অবস্থিত বাহিয়া রাজ্যে ভারি বৃষ্টির কারণে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাস্তুচ্যুত হন আরও কয়েক হাজার। জানুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সাও পাওলোতে বন্যায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে, রিও ডি জেনিরো রাজ্যে প্রবল বর্ষণে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পার্নাম্বুকো রাজ্যের রাজধানীতে ২৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, পার্নাম্বুকো ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট এজেন্সি জানিয়েছে যে, রাজ্যেটিতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
নদী বন্দর/এসএফ