তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্ব পেলেন সাকিব আল হাসান। তার সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন নতুন অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের নাম। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে টানা অফফর্মের কারণে নিজ থেকেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মুমিনুল হক। তাই বাধ্য হয়ে নতুন অধিনায়ক খুঁজে নিতে হলো বিসিবিকে।
আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু হচ্ছে সাকিব-লিটন জুটির নেতৃত্ব। এর আগের দুই দফায়ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে সাকিব টেস্ট অধিনায়কত্ব শুরু করেছিলেন। সে দুবারে ১৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে বাংলাদেশ জিতেছে তিনটি ম্যাচ।
২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাশরাফি বিন মর্তুজার চোটে আর কোনো উপায়ন্ত না থাকায় সাকিবকেই দেওয়া হয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব। সে দফায় সাকিব ২০১১ সালের জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন। জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যর্থতার দায় দিয়ে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়।
পরে ২০১৮ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে সাকিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেবার মাত্র চার ম্যাচ নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন তিনি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগে শেষ ম্যাচেও সাকিব ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর নিয়মিত টেস্ট খেলা নিয়ে সাকিবের মধ্যে একপ্রকার অনীহাই দেখা দেয়। তবে এবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গুরুত্ব দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হয়েছেন সাকিব। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে তার তৃতীয় দফার দায়িত্ব।
অন্যদিকে এর আগে কখনও কোনো পর্যায়ে অধিনায়কত্ব করেননি লিটন দাস। এবারই প্রথমবারের মতো লিডারশিপ গ্রুপে ঢুকলেন তিনি। হয়তো ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে বিসিবি তার কথাই ভাবছে। তাই এখন থেকেই সাকিবের অধীনে রেখে তৈরি করা হবে লিটনকে।
আগামী ১৬ জুন শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্ট। সেই ম্যাচ দিয়েই নতুন দফায় টেস্ট অধিনায়কত্ব শুরু করবেন সাকিব। লিটনের ক্যারিয়ারেরও নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে ১৬ জুনের অ্যান্টিগা টেস্টের মধ্য দিয়ে।
নদী বন্দর/এসএফ