ঋণখেলাপিদের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ এবং বিল খেলাপিদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনে এই বৈঠকে বসেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ব্যাংক সেবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে বিল খেলাপিদের জন্য ‘অভিন্ন সুবিধা’ দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতামত নেয় নির্বাচন কমিশন। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ, ওয়াসা, আইন বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সভায় ১৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রিতদের সবাই সভায় উপস্থিত রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, প্রার্থী হতে ঋণখেলাপি ও বিল নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে একটু স্পষ্টতা রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে বড় ঋণখেলাপি পুনঃতফসিল করে ভোটে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু কারও অজান্তে কয়েকশ টাকার বিলের জন্যও প্রার্থী হতে পারেন না কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি হলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মামলা করারও বিধান রয়েছে। মামলা না হওয়ার আগেই কাউকে মনোনয়ন বঞ্চিত না করে সবার জন্য সমান সুযোগ দিতেই আর্থিক ও সেবা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।
সব দিক বিবেচনা করে কেউ যেন অধিকার বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরপিও সংস্কারের মতো উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তারা।
এদিকে, কৃষি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋণ এবং ব্যক্তিগত বিল (টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা সেবা সংস্থার বিল) এখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অন্তত সাতদিন আগে পরিশোধের নিয়ম রয়েছে। আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত পরিশোধ করার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএফ