ইউক্রেনে গত মাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শস্য, তেলবীজ এবং উদ্ভিজ্জ তেল রপ্তানি মে মাসে ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল মাসের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে। গত মাসে ১৭ লাখ টনের বেশি কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে ২০২১ সালের মে মাসের তুলনায় এই হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ভুট্টা। দেশটি প্রায় ৯ লাখ ৫৯ হাজার টন ভুট্টা রপ্তানি করেছে। অপরদিকে সূর্যমুখীর তেল রপ্তানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৬৫০ টন।
তবে ২০২১ সালের মে মাসে ২২ লাখ টনের বেশি ভুট্টা রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। একই সময়ে সূর্যমুখী তেলের রপ্তানি হয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৮শ টন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহন করতে পারছে না ইউক্রেন। কারণ এগুলোর নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।
এদিকে দুদেশের এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারমধ্যে আবার ইউক্রেনের বন্দরে পণ্য আটকে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে খাদ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এমন ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমে এপ্রিলের পর্যায়ে চলে এসেছে।
শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের তথ্য থেকে জানা যায়, শুক্রবার গম প্রতি বুশেল (২৭.২ কেজি) ১০ দশমিক চার ডলারে বেচা-কেনা হয়েছে, যা মে মাসের সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে দশ শতাংশ কম। পশুখাদ্যের জন্য ভুট্টার দামও এই সপ্তাহে কমেছে, প্রতি বুশেল সাত দশমিক ২৭ ডলারে নেমে এসেছে।
জানা গেছে, গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। কারণ ধারণা করা হয় যে, রাশিয়ার চলমান হামলায় ইউক্রেন থেকে পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হবে। এর আগে পশ্চিমাদেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে পণ্য সরবরাহ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনে। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনাদের মাইনের কারণে পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সে সময় পুতিন জানান, পণ্য রপ্তানিতে কোনো বাধা নয় বরং সহায়তা করা হবে।
নদী বন্দর/এসএফ