ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের পণ্য কেনা যায় এই সাইটটিতে। যতই দিন যাচ্ছে ততই গ্রাহকদের জন্য আরও সহজ করছে অ্যামাজন ব্যবহার। এবার অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে অর্ডারকারীদের দুয়ারে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন।
বিশ্বে সর্বপ্রথম অ্যামাজনের এই পরিষেবার সুবিধা পাবেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তর্গত লকফোর্ড শহরে বসবাসকারী মানুষেরা। তবে ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য হাতে পাওয়ার জন্য অবশ্য ক্রেতাদের সাইন আপ করতে হবে।
নতুন এই পরিষেবা চালুর জন্য অ্যামাজনের দরকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সবুজ সংকেত। শুধু তারপরই জেফ বেজোস কর্তৃক চালিত সংস্থাটি ড্রোন মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতাদের বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
শপিং জায়ান্ট কয়েক বছর ধরেই গ্রাহকদের ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিল। এমনকি করোনার সময় অনেক জায়গায় ওষুধ এবং জরুরি জিনিস পাঠাতে বিভিন্ন দেশে ড্রোন ব্যবহার করেছিল অ্যামাজন।
ড্রোনের সাহায্যে পণ্য ডেলিভারির প্রক্রিয়া শুরুর উদ্দেশ্যে অ্যামাজন শতাধিক সদস্য নিয়ে একটি দল তৈরি করেছি। সেখানে বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, মহাকাশ গবেষক, পরিকল্পনাকারীর ছিল বশ কয়েকজন। এদের সমবেত প্রচেষ্টাতেই চলতি বছরে লকফোর্ডের বাসিন্দারা প্রাইম এয়ার পরিষেবার মাধ্যমে ঘরে বসে অর্ডার করা পণ্য হাতে পাবেন।
প্রাইম এয়ার পরিষেবা অর্থাৎ ড্রোন মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারির জন্য অ্যামাজন এফএএ অর্থাৎ পূর্বে উল্লিখিত ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাথে একযোগে কাজ করেছে। এই মুহূর্তে প্রাইম এয়ার সেই তিন কোম্পানির মধ্যে অন্যতম যারা এর মধ্যেই এফএএ ক্যারিয়ার সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে অতিক্রম করেছে। আকাশপথে ড্রোন পরিচালনার জন্য এই অনুমোদনটি একান্ত জরুরি।
এই ড্রোনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট পেতে হলে তাদের আলোচ্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রাইম এয়ার-নির্বাচিত পণ্য অর্ডার করতে হবে। এর ফলে তারা অর্ডার ডেলিভারির নির্দিষ্ট তারিখ এবং অর্ডার স্ট্যাটাস ট্র্যাক করার বিকল্প পেয়ে যাবেন। এরপর নির্দিষ্ট দিনে ডেলিভারি লোকেশনে অ্যামাজনের ড্রোন পৌঁছে যাবে এবং উপযুক্ত সুরক্ষার সঙ্গে ক্রেতার হাতে প্রোডাক্ট পৌঁছে দেবে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
নদী বন্দর/এসএফ