ভারতের কাছ থেকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ১৫ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চুরি বা কালোবাজারে বিক্রির আশঙ্কায় ভ্যাকসিনগুলো গোপন স্থানে রাখবে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম সিটি প্রেসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র পোপো মাজা রোববার সিটি প্রেসকে বলেন, চুরি হলে ভ্যাকসিনগুলো হবে অতি দামী পণ্য এবং এগুলো কালোবাজারিদের হাতে পৌঁছাবে। তিনি আরও বলেন, যদি তা-ই হয় তাহলে এসব অবৈধ ভ্যাকসিনের দাম বেড়ে যাবে অনেক বেশি।
পোপো মাজা বলেন, ‘একটি কেন্দ্রীয় জায়গা থাকবে যেখানে ভ্যাকসিনের চালান মজুদ রাখা হবে এবং সেখান থেকে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফার্মাসিতে এগুলো বিতরণ করা হবে।’
‘এক্ষেত্রে নিরাপত্তার একটি ব্যাপারও রয়েছে। যেসব দেশ ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে তারা আমাদের সতর্ক করে দিয়েছে যে এগুলো ব্যাপক চুরি হচ্ছে। তাই এগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে কোথায় সংরক্ষণ করা হবে তা আমরা সম্ভবত জানাব না’, বলেন পোপো।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুয়েলি এমখিজে সংসদে বলেন, ভারতের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ১৫ লাখ ডোজের প্রাপ্তি তারা নিশ্চিত করেছে। করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে ভারত থেকে ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে যাবে আরও পাঁচ লাখ। ভ্যাকসিন প্রদানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে প্রাধান্য দেয়া হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের ভ্যাকসিন এখনও অনুমোদন না পাওয়ার ব্যাপারটিকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছেন না এমখিজে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সকল নিয়ম ও প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করছে যেন ভ্যাকসিন প্রদানে কোনো অপ্রয়োজনীয় দেরি না হয়।
নদী বন্দর / এমকে