আসামে বন্যায় মঙ্গলবার (২১ জুন) আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভারতীয় রাজ্যটিতে সাম্প্রতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। আশঙ্কার কথা, এক সপ্তাহ পরেও সেখানে বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
আসামে মৌসুমী আর্দ্রতা কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র-বরাকের মতো প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ছে।
আসামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) তথ্যমতে, রাজ্যের বন্যাকবলিত ৩২ জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫৫ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ২৬ লাখ লোক ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারপেটা জেলা।
এএসডিএমএ’র মুখপাত্র জানিয়েছে, রাজ্যের ৫ হাজার ১২৩টি গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে ১ লাখ ৮ হাজার হেক্টরেরও বেশি কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার ভুবনেশ্বর থেকে বরাক উপত্যকার শিলচর শহরে আকাশপথে এনডিআরএফ উদ্ধারকারীদের চারটি অতিরিক্ত দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ।
বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মেঘালয়ে ৩২ জন ও অরুণাচল প্রদেশে রয়েছেন ছয়জন।
নদী বন্দর/এসএফ