স্পেন ও পর্তুগালে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্প্যানিশ ইলেক্ট্রিসিটি নেটওয়ার্কের প্রধান বলেছিলেন, পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ছয় থেকে দশ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এবার পর্তুগালের বিদ্যুৎ সংস্থা জানিয়েছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
পর্তুগালের বিদ্যুৎ সংস্থা রেন বলেছে, ‘ঘটনার জটিলতা এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক করতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
এই বিপর্যয়ের ফলে সড়কে ট্রাফিক লাইট কাজ না করায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিঘ্ন ঘটেছে উড়োজাহাজ চলাচলেও।
দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তৎপর হয়েছে।
ইউরোপীয়ান কমিশন জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অন্তর্নিহিত কারণ বোঝার জন্য তারা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষের সাথে ‘যোগাযোগ’ রক্ষা করে চলেছেন।
ইইউর নির্বাহী শাখার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘কমিশন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং সুষ্ঠু তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করবে।’
ইইউর কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রধান আন্তোনিও কস্তাও স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।
কস্তা জানিয়েছেন, আজকের এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ কোন সাইবার হামলা নয়।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সেনচেজ এবং পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুই মন্টিনিগ্রোর সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের গ্রিড অপারেটররা বিভ্রাটের কারণ খুঁজে বের করতে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছেন।’
স্পেনের বিদ্যুৎ অপারেটর রেড ইলেকট্রিক জানিয়েছে, দেশের উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের কিছু সাবস্টেশনে বিদ্যুতের সরবরাহ পুনরায় নিশ্চিত করা গেছে।
তবে দেশটির জাতীয় রেলওয়ে সংস্থা রেনফে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদের সব ধরনের সেবা এখনও স্থগিত রয়েছে।
এদিকে, মাদ্রিদের মেট্রো সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের সব লাইনও বন্ধ রয়েছে।
পর্তুগালে বিমান সংস্থা ট্যাপ যাত্রীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিমান ভ্রমণ না করতে অনুরোধ করেছে।
নদীবন্দর/জেএস