ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে আবারো নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে স্থায়ী বাঁধ প্রকল্প এলাকার পূর্ব সতর্কতামূলক ও জরুরি ভিত্তিতে ফেলা জিও ব্যাগসহ অন্তত ১০ মিটার প্রস্থ ও ২০ দৈর্ঘ মিটার জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
যদিও ভাঙ্গন এলাকায় ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগের ডাম্পিং করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত শনিবার সন্ধা পর্যন্ত ওই স্থানে ৫০টি জিও টিউব ও ১২ শত ৮০টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানান তদরকিতে থাকা পাউবোর কার্য সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম।
সরেজমিনে রবিবার সকাল দশটার দিকে ভাঙন এলাকায় দেখা যায় গামলা ভরে জিও ব্যাগে বালু ভরা হচ্ছে। প্রতিটি বস্তার ওজন একশত পচাত্তর কেজি হবার কাথা। তবে কোন প্রকার পরিমাপ ছাড়াই বস্তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে ভাঙ্গন এলাকায়।
এসময় সেলাই ছাড়া একটি বস্তা ফেলতে দেখা গেলে ওই কার্য সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বস্তাটি গনণা থেকে বাদ দিতে বলেন তদরকির দায়িত্বে থাকা অন্যদের। ঠিক ওই সময় চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহঙ্গীর কবির ভাঙ্গন এলাকায় আসেন। তিনিও সেলাই বিহিন বস্তা ফেলার বিষযটি অবলোকন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এ বিষয়ে ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৗশলী আলতাফ হোসেন বলেন কাজের মান খুব ভাল হচ্ছে। সব বস্তা তো পরিমাপ করা সম্ভব না, তবে বস্তায় যে পরিমান বালু ধরা আছে তার থেকে বেশী পরিমানে ভরা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। সেলাই ছাড়া জিও ব্যাগের ব্যপারে তিনি বলেন দু একটু সমস্যা হতেই পারে। তিনি সকলকে বলে দিয়েছেন গুরুত্বের সাথে তদারকি করতে।
স্থানীয়রা জানান ভাঙন অব্যাহত থাকলে বিপাকে পরবে ওই এলাকার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০ পরিবার ।
নদী বন্দর/এসএফ