নেত্রকোনায় বন্যাজনিত কারণে রোপা আমন আবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো জমি থেকে বন্যার পানি না সরাতে কৃষকরা বীজতলা করতে পারছেন না। নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা এবং আটপাড়া উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা যে জমিতে রোপা আমন আবাদের জন্য বীজতলা নির্মাণ করত সেসব জমি এখনো বন্যার পানির নিচে। তবে যে জমি থেকে পানি সরে যাচ্ছে সেখানেই কৃষকরা বীজতলার জন্য দ্রুত জমি তৈরি করছেন।
সিংহের বাংলা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, তিনি বন্যার পানির জন্যই বীজতলা করতে পারছেন না। বারহাট্টার কৃষক আব্দুল করিম বলেন, বীজতলা করতে হলে পর্যাপ্ত রোদের দরকার। কিন্তু প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। রোদের দেখা নেই। এজন্য বীজতলাও করা যাচ্ছে না।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. শাহাজাহান সিরাজ বলেন, কোনো কোনো এলাকায় কৃষকরা উঁচু জমিতে বীজতলা করছেন। মূলত যেখানে সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে বীজতলা করা হচ্ছে। এছাড়া সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে—উঁচু জমিতে দ্রুত বীজতলা তৈরির জন্য সহায়তা করতে, যাতে সেখান থেকে পরে অন্য এলাকায় রোপা আমনের চারা সরবরাহ করা যায়।
তিনি আরো বলেন, এবার নেত্রকোনা জেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১ লাখ ৯ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল এবং ১৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমান আবাদ করা হবে। এই পরিমাণ জমিতে আমন চাল উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৬ টন।
নদী বন্দর/এসএফ