করোনার কারণে ভিসা না পাওয়ায় জাপানে ট্রায়েল রান পরিদর্শনে তৃতীয় পক্ষ খুঁজছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বলছেন, নিজেরা যেতে না পারলেও এমন কাজে দক্ষ সেখানকার স্থানীয় বা ভিসা জটিলতা নেই এমন দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান খোঁজা হচ্ছে। এসব বিপত্তি পেরিয়ে এপ্রিলে পরীক্ষামূলক চলাচলেই বদ্ধ পরিকর তারা। সেই লক্ষ্যে ট্রায়াল রান এলাকায় রেল লাইনের পাশাপাশি স্টেশনের সার্বিক কাজও চলছে সমানতালে।
কথা ছিল চলতি মাসেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সামনে হবে জাপানে রেলের ট্রায়েল রান। সব ঠিকঠাক থাকলে জাপানের ওবে বন্দর থেকে জাহাজে চেপে রেল আসবে মোংলা বন্দরে। সেখান থেকে নদী পথে সরাসরি দিয়াবাড়ি।
তবে করোনার জটিলতায় আটকে গেছে ভিসা। তাই বিকল্প পথ খুঁজছেন কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ এপ্রিলে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের জন্য প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাপনের ট্রায়েল রান পরিদর্শনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিড কোম্পানি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এশিয়ান কান্ট্রি থেকে জাপানে যেতে পারবে না। তবে, কিছু কান্ট্রিকে অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য একটা থার্ড কান্ট্রির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আমরা একটা টার্গেট রেখে কাজটি করে যাচ্ছি। আশা করি সেটা থেকে আমাদের সরতে হবে না।
এদিকে ট্রায়েল রানের জন্য প্রথম তিনটি স্টেশনে রেল লাইন বসানোর কাজ চলছে দিনরাত। পরিকল্পনা আছে আরো দুটি স্টেশন এতে যুক্ত করার। আর মূল লাইন দুই লেনের হলেও প্রথম স্টেশন থেকে ডিপো পর্যন্ত যুক্ত করা হয়েছে আরো দুটি অতিরিক্ত লাইন। এক, দুই ও তিন নম্বর স্টেশনের অবকাঠামোর পাশাপাশি চলছে আনুসঙ্গিক কাজ।
বড় কোন বাধা না আসলে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই বছরের বিজয় দিবসেই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।
নদী বন্দর / এমকে