দেশের বড় অংশজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও অন্তত তিনদিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, যদি বায়ুপ্রবাহের বর্তমান গতিপ্রকৃতি একই রকম থাকে তবে তাপপ্রবাহ আরও অন্তত তিনদিন চলতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের যত অংশজুড়ে তাপের বিস্তার, তা চলতি বছরে দেখা যায়নি। আজ রাজধানীতেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। রাজধানীর আজকের তাপমাত্রা চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ ছিল। কিন্তু আজ যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে, তা আগে হয়নি। তাপপ্রবাহ আগে এত বিস্তৃত ছিল না।
বৃহস্পতিবার এই তাপপ্রবাহের মধ্যেও বরিশাল অঞ্চলের আকাশে মেঘ রয়েছে। দুপুরের দিকে সেখানে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিও হয়।
এ বিষয়ে বজলুর রশীদ বলেন, বরিশাল অঞ্চলে যে মেঘমালার সঞ্চার হয়েছে তা আরও বিস্তৃত হলে দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ বইছে তা কমে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১১ মের মধ্যেই তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেক আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, এখন যেভাবে তাপপ্রবাহ বইছে, তা অন্তত তিন দিন থাকতে পারে। যদি বায়ুপ্রবাহের বিশেষ কোনো পরিবর্তন না হয় তবে এমনটা চলতে থাকবে। ১২ মে থেকে তাপপ্রবাহ কমতে পারে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি রাজধানীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
নদীবন্দর/এএস