মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিবিড়ভাবে যুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ভর করেই টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটির উৎপত্তি জানা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা ধ্বনি’র মহরত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্পিকার।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সূর্য সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আমাদের সামনে এগিয়ে চলা। তাই মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক সব তথ্য, দলিল সংগ্রহ, সংরক্ষণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান হৃদয়ে ধারণ করে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাই সচেষ্ট হবো।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে গভীরভাবে অনুভব করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা বিভিন্ন মাধ্যমে সৃষ্টিশীল উপায়ে তুলে ধরার জন্য সরকারি-বেসরকারি অনুদান বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হলে তা পুরোপুরিভাবেই নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণে ব্যয় হয়। সুতরাং এ ধরনের বিনিয়োগের ইমপ্যাক্ট ও রিটার্ন অনেক উচ্চ।
১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও দলিল সংরক্ষণে তৎপর হয়েছেন। তারই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করেছি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এ. ওয়ান টেলিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী এবং ‘জয় বাংলা ধ্বনি’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক খ. ম. খুরশীদ।
নদী বন্দর/এবি