চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করলো অধরা শিরোপার মিশনে নামা প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে হারালো ফ্রান্সের ক্লাবটি।
ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে মঙ্গলবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। শুরুতেই এমবাপের জোড়া গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে জুভেন্টাসের ব্যবধান কমানো গোলটি করেন ওয়েস্টন ম্যাককেনি।
প্রথমার্ধে মেসি, নেইমার, এমবাপেদের দাপটে জুভেন্টাস কোণঠাসা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। বল দখলে এগিয়ে থাকা পিএসজি গোলের উদ্দেশ্যে ১৫ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৬টি। জুভেন্টাসের ১৩ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে, যার বেশিরভাগই দ্বিতীয়ার্ধে।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। দ্বন্দ্বের গুঞ্জনকে পেছনে ঠেলে নেইমারের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় বল দেওয়া নেওয়া করে কোনাকুনি শটে গোল করেন এমবাপে।
২২ মিনিটের মাথায় আরও এক গোল পিএসজির। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস আশরাফ হাকিমিকে বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। এরপর ফিরতি পাস পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরাসি স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে হ্যাটট্রিকও পেয়ে যেতে পারতেন এমবাপে। মেসির পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে শেষ মুহূর্তে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি।
এর দুই মিনিট পর ব্যবধান কমায় জুভেন্টাস। কসতিচের বক্সের দিকে বাড়ানো ক্রস লাফিয়ে উঠে হেডে দারুণ এক গোল করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার ম্যাককেনি।
ব্যবধান কমিয়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে জুভেন্টাস। পরের চার মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। ৫৫তম মিনিটে ভ্লাহোভিচের জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুমা, ফিরতি বলে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে হতাশ করেন ম্যাককেনি।
৬৩তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের আরেকটি নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপে। নেইমারের পাস ধরে মেসি বক্সে বল দিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে। কিন্তু এবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি।
৮১তম মিনিটে সমতা টানার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন মানুয়েল লোকাতেল্লি। দুবারই দলকে বাঁচান পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুমা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ক্রিস্টোফে গাল্টিয়েরের দল।
এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকা ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইসরায়েলের ম্যাকাবি খাইফাকে।
নদী বন্দর/এসএইচ