লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও আমন ক্ষেত। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আমন চাষিরা। এদিকে উত্তাল রয়েছে কুয়াকটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তাই আজও পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর শহরের রিকশাচালক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, গত রোববার থেকে বৃষ্টির কারণে সড়কে মানুষের চলাচল অনেকটা কম। তাই যাত্রীও কম।
আফজাল মিয়া নামে আরেক ভ্যানচালক বলেন, বৃষ্টির কারণে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। আয়ও তেমন নেই। পরিবার নিয়ে কোনোমতে চলছে সংসার।
কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক জাকির মিয়া বলেন, আমি ১০০ শতাংশ জমিতে আমন রোপন করেছি। এখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
একই এলাকার সজল গাইন বলেন, বৃষ্টিতে অনেকের মাছের ঘের এবং পুকুর তলিয়ে গেছে। এ বৃষ্টি থাকলে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বো।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নদী বন্দর/এসএইচ