পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম সংক্ষেপে ৫-জি হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক। শনিবার (১ অক্টোবর) ভারতে ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী দুবছরের মধ্যে সারা দেশে ফাইভ-জি চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিক ভাবে দেশের কয়েকটি শহরে চালু হচ্ছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক।
ভারতের টেলিকম বিভাগ (ডিওটি) জানায়, প্রথম ধাপে ভারতের বেশ কিছু শহরে ৫-জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস মিলবে। এ তালিকায় রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাইসহ অন্যান্য কয়েকটি শহরও। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।
ভারতের তিনটি প্রধান টেলিকম অপারেটর ৫-জি প্রযুক্তির সম্ভাবনার বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে তুলে ধরেন। ৫-জি নেটওয়ার্কের কারণে ভারতের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দিল্লির প্রগতি মাঠে ১ থেকে ৪ অক্টোবর আয়োজন করা হয়েছে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস। সেখান থেকেই দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলি থেকে শহরগুলোতে চালু হয়ে যাবে এই পরিষেবা।
ভারতের প্রযুক্তিবিদদের দাবি, ৫-জি প্রযুক্তি ভারতের পক্ষে যথেষ্ট লাভজনক হিসাবে প্রমাণিত হবে। ২০২৫ সাল নাগাদ ভারতে ৫-জি-র ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রভাব ৪৫০ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইভ জি স্পেকট্রামের সবচেয়ে বেশি বরাত পেয়েছে মুকেশ আম্বানি সংস্থা রিল্যায়্যান্স জিয়ো। তারা ফিফথ জেনারেশন বা ফাইভ-জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে। মোট ১০টি ব্যান্ডের ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লাখ কোটি রুপিতে।
৫-জি নেটওয়ার্কের কারণে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে যে কোনো বড় ফাইল, সিনেমা কিংবা গান ডাউনলোড হবে কয়েক মুহূর্তেই। ই-হেলথ, মেটাভার্সের দিক থেকেও অনেকটা এগিয়ে থাকবেন গ্রাহকরা।
সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার
নদী বন্দর/এসএইচ