ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ আইয়ুব খানের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পাকিস্তানে ফিল্ড মার্শাল পদবি পেলেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির।
মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন।
মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়, জেনারেল আসিম মুনিরের উজ্জ্বল সামরিক নেতৃত্ব, সাহসিকতা এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রতি অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে যুদ্ধে অপারেশন বুনিয়ান-উন মারসুস চলাকালে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে সর্বোত্তম কৌশল ও সাহসিকতার জন্য তাকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এমন বিরল পদোন্নতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসিম মুনির পাকিস্তানের জনগণ, সশস্ত্র বাহিনী এবং বিশেষ করে বেসামরিক শহীদ ও প্রবীণদের প্রতি উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, ফিল্ড মার্শাল সম্মাননা পাওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। এটি কোনো ব্যক্তিগত সম্মান নয়, এটি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুরো জাতির জন্য।
আসিম মুনির বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা তার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ হলো ফিল্ড মার্শাল পদ। জেনারেল মুনির দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফিল্ড মার্শাল হচ্ছেন। এর আগে, আইয়ুব খান ১৯৫৯-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের পদোন্নতির পাশাপাশি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুর মেয়াদ বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিধু তার নির্ধারিত অবসরের তারিখের পরেও নিজের পদে থাকবেন।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আঞ্চলিক সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশেষত উত্তেজনাপূর্ণ আফগান সীমান্তে এবং দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
নদীবন্দর/এএস