ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ কার্চ সেতুতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরআইএ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো রাশিয়ার সঙ্গে এর অধিকৃত অংশ ক্রিমিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণের ছবি প্রকাশ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় রাশিয়ার কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির একটি অংশে আগুন জ্বলছে এবং সড়ক পথের ও রেলপথের কিছু অংশ পানিতে পড়ে গেছে। এছাড়া উপরে সেতুতে থাকা রেলকার থেকেও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তবে বিস্ফোরণের উৎস সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়নি। খবর সিএনএনের।
গত আগস্ট মাসে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার বলেছিলেন কার্চ সেতুটি তাদের ‘বৈধ’ লক্ষ্যবস্তু। মেজর জেনারেল দিমিত্রো মার্চেঙ্কো আরবিসি-ইউক্রেনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার ভেতর থেকে সৈন্য আনা ও রসদ সরবরাহের সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করতে এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাজ।’
এদিকে, অধিকৃত ক্রিমিয়ার রাশিয়ান প্রশাসনের প্রধান ওলেগ ক্রিয়াঞ্চকো জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর আগুন নেভাতে কাজ চলছে। তিনি জানান, সেতুর শিপিং আর্চগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
২০১৮ সালে খুলে দেয়ার পর আরআইএ নভোস্তির রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্চ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৪০ হাজার গাড়ি পারাপার হয়। সেতুটি দিয়ে বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১৩ মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণ হয়।
সেতুটি খুলে দেয়ার পর এর নির্মাণ কাজকে যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ বলেছিল। সে সময় ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, ‘কার্চ সেতুর নির্মাণ কাজ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাশিয়ার অব্যাহত অবজ্ঞারই ধারাবাহিকতা।’
নদী বন্দর/এসএইচ