সরকার আমানউল্লাহ আমানের বক্তব্যে ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে’ আমানউল্লাহ আমানের এক বক্তব্যে আপনারা সবাই ভয় পেয়ে গেছেন। ভয়ের কিছু নেই, আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দ্রুত সেফ এক্সিট নিন, সংসদ ভেঙে দিন, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নয়তো পালানোর পথ পাবেন না। কারণ, মানুষ জেগে উঠেছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩২তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
সরকার হটাতে জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নব্বইয়ের ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছিল একটা ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের মধ্যদিয়ে। তার মধ্যে পুরো জাতি আশান্বিত হয়েছিল। তারা বাধ্য করেছিল সব রাজনৈতিক দলকে এক জায়গায় আসতে। তখনো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা জোট ছিল। বিএনপির আলাদা জোট ছিল, আওয়ামী লীগের আলাদা জোট ছিল, বামপন্থিদেরও আলাদা জোট ছিল।
সেই জোটগুলো একটা জায়গায় এসে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছিল এবং যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল। আজও সেই পরিপ্রেক্ষিত উপস্থিত। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দলকে এক জায়গায় আনতে হবে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার প্রয়োজন হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম পরিষদ গঠনের প্রয়োজন হবে। যুগপৎ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বাংলাদেশকে মুক্ত করার আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার প্রাণ দিতে হলেও দেবো। তবু অবশ্যই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো।
সংগঠনের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন মনি, আসাদুর রহমান খান, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএইচ