অবশেষে নাসুমের হাত ধরে ব্রেকথ্রু পেল বাংলাদেশ। আর নাসুমের পরই সাফল্য পেলেন দলের সুযোগ পাওয়া এবাদত হোসাইন। যাতে ৬১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। পরে নওয়াজকে রান আউট করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন লিটন দাস। তবে মোহাম্মদ হারিস-মাসুদের ব্যাটিং ঝড়ে সেই চাপ উড়িয়ে সেমিতে পৌঁছে গেল বাবরের দল।
রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে ওপেনিং জুটিতেই ৫৭ রান যোগ করেন বাবর-রিজওয়ান। দারুণ এই জুটি ভেঙেছেন দলে সুযোগ পাওয়া নাসুম আহমেদ। ৩৩ বলে ২৫ রান করা বাবর আউট হয়েছেন মোস্তাফিজের ক্যাচে। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার।
এক ওভার পর এবাদত হোসাইন বিদায় দিয়েছেন রিজওয়ানকেও। ৩২ বলে ৩২ রান করা এই ব্যাটার ক্যাচ তুলেছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা শান্তর কাছে। তার ইনিংসে ছিল দুটি চার ও একটি ছয়। যাতে ১১.৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৬ রান।
এদিন ১২৭ রানের অল্প পুঁজি নিয়েও শুরুতেই উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে সোহানের ক্যাচ মিসে জীবন পান মোহাম্মদ রিজওয়ান। আর তাতে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর গড়ে পাকিস্তান।
পরে মোহাম্মদ হারিস ও শান মাসুদের ১৪ বলে ২৯ রানের জুটিতে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় বারব আজমের দল। শেষ পর্যন্ত শান মাসুদের ১৪ বলে ২৪ রানে ভর করে ১১ বল হাতে রেখেই পাকিস্তান তুলে নেয় কাঙ্ক্ষিত জয়। পাঁচ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় স্বপ্নের সেমিফাইনালে।
যদিও মাঝে মারকুটে হারিসকে আউট করেন সাকিব। সাউদিকে টপকে টি-টোয়েন্টিতে সেরা উইকেট শিকারীর আসনটি পুনরুদ্ধার করেন টাইগার অধিনায়ক। ১৮ বলে একটি চার ও দুটি ছয়ে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হারিস।
সোহানের ভুলে তিন ওভারে ২৬ রান দিয়েও এদিনও কোনও উইকেট পেলেন না তাসকিন। যার ফলে বাংলাদেশও পেল না কাঙ্ক্ষিত ফল। এছাড়া সাকিব, নাসুম, এবাদত ও মুস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট। তবে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
নদী বন্দর/এসএইচ