১৯৯২ সালে এই মেলবোর্নেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। আবারও সেই একই মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামছে দুই দল। স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাসের পুরনাবৃত্তি ঘটাতে মরিয়া বাবর আজমরা। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড চাইছে ইতিহাস বদলে দিতে।
আর সেই লক্ষ্যেই এদিন আগে বোলিং নিয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৭ রানেই থামিয়ে দেয় ইংলিশরা। অর্থাৎ দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে বাটলারদের দরকার ১৩৮ রান।
রোববার মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে জস বাটলার প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। সুতরাং এমসিজিতে আজ রান তাড়া করবে ইংল্যান্ড। উভয় দলই অপরিবর্তিত প্রথম একাদশ নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। যার অর্থ- ডেভিড মালান ও মার্ক উডকে ছাড়াই মাঠে নামে ইংল্যান্ড।
এদিন শুরুতে ক্যাপ্টেন বাবর আজমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বোলিং শুরু করেন বেন স্টোকস। শুরুতেই নো-বল করেন স্টোকস। তার পরেই ওয়াইড বল করেন ব্রিটিশ অল-রাউন্ডার। সুতরাং প্রথম বলেই ফ্রি-হিট পেয়ে যান রিজওয়ান। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয় ওভারে এসে ভালো করে চতুর্থ ওভারে পুনঃরায় বল করতে আসেন ক্রিস ওকস। তবে এবার প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওভারে ওঠে মোট ১২ রান। যাতে ৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ২৮ রান।
তবে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই তাকে ফিরিয়ে পাক শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন স্যাম কারেন। বাঁহাতি এই পেসারের তোপ ও লেগ স্পিনার আদিল রশিদের ঘূর্ণিতেই মূলত এদিন কুপোকাত হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন।
একে একে আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৫, মোহাম্মদ হারিস ৮, ইফতিখার শূন্য ও বাবর আজম ৩২ রান করে। যাতে ২৯ রানেই প্রথম উইকেট হারানো দলটি বিপদে পড়ে ১৩ ওভারেই ৪র্থ উইকেট হারিয়ে। পঞ্চম উইকেটে অবশ্য শাদাব খানকে সঙ্গী করে ২৫ বলে ৩৬ রান যোগ করলেও বড় স্কোর গড়ার তা যথেষ্ট ছিল না।
শাদাব ১৪ বলে ২০ রানে এবং শান মাসুদ ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান জমা করতে পারে স্কোরে।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে স্যাম কারেন মাত্র ১২ রানে ৩টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া আদিল রশিদ ২২ রানে ও ক্রিস জর্দান ২৭ রানে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
নদী বন্দর/এসএইচ