করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে অবশেষে আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে গড়ে উঠছে একের পর এক শিল্পকারখানা। চুক্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে কারখানা স্থাপনের নির্ধারিত স্থান। চলতি বছরের মাঝামাঝি উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং জাপানের দুটি স্টিল মিল।
শ্রমিকদের শোরগোল, গাড়ি আর যন্ত্রের শব্দে সরগরম একসময়ের পানিতে ডুবে থাকা চরাঞ্চল এখন দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পনগরী মীরসরাই ইকোনমিক জোন। জাতির জনকের নামকরণে নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর। করোনার কারণে আটকে যাওয়া কাজ এগিয়ে নিতে শ্রমিকদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
প্রতিদিন কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান ঘটা করে তার কারখানা স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছে। চরের মাটিতেই কাটা হচ্ছে কারাখানা স্থাপনের খুশির কেক। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা আসছেন কাজের অগ্রগতি দেখতে।
বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী বলেন, যখন বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট আসবে তখন তাদের সঙ্গে সঙ্গে অনেক লোকাল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপ হয়ে যাবে।
দুই বছরেরও কম সময় ধরে চলে আসছে দেশের সর্ববৃহৎ এই শিল্প নগরী গড়ে তোলার কাজ। ইতোমধ্যে এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠান। আগামী ৫ বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালে যখন এই শিল্প নগর বাস্তবায়নটা শুরু হবে তখন এখানে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হবে। এখানে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে চীনের মালিকানাধীন কেমিক্যাল, জাপানের স্টিল, ভারতের রং, বাংলাদেশের সুতা তৈরির কারখানা স্থাপনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
নদী বন্দর / এমকে