লক্ষ্য ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং, ১৮০ রানের। শুভাগতহোম চৌধুরী লড়লেন, তবে বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। আফিফ হোসেন তো অসুস্থতার কারণে ব্যাটিংয়েই নামতে পারলেন না। নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে লড়াইটাও করতে পারলো না শুভাগতর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বিপিএলে আজ (সোমবার) দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে রংপুর। ছয় ম্যাচে এটি রংপুরের তৃতীয় জয়, অন্যদিকে ৭ ম্যাচে পঞ্চম হার চট্টগ্রামের।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। ১১ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে তিন টপঅর্ডার-উসমান খান (৪), খাজা নাফে (৬) আর তৌফিক খানকে (০)। এরপর দারউইশ রসুলি ১৭ আর পরে জিয়াউর রহমান ১২ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হন।
একাই অনেকটা সময় লড়াই করেন শুভাগতহোম। তবে চট্টগ্রাম অধিনায়ক ৩১ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫২ রানের ঝড় তুললেও দলকে জেতানোর মতো পরিস্থিতিতে নিতে পারেননি কখনই। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে হারিস রউফের শিকার হন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম ধুঁকতে ধুঁকতে ১৬.৩ ওভার পর্যন্ত গেছে, করেছে ১২৪।
রংপুরের পেসার হারিস রউফ ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২৪ রানে দুই উইকেট শিকার বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের।
এর আগে শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। ৪৫ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। ৫টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কা মারেন তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ২৪ বলে ৪২ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শেখ মেহেদির উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর। ৬ রান করে ফিরে যান তিন নম্বরে নামা পারভেজ হাসান ইমনও। এরপর মোহাম্মদ নাইম এবং শোয়েব মালিক মিলে জুটি গড়েন। ২৯ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ নাইম। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
শোয়েব মালিকের সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুই বিদেশি রংপুর রাইডার্সকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ২৪ বলে ৪২ রান করে আউট হন ওমরজাই। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ ৯, শামীম হোসেন ৭ রান করে আউট হন।
চট্টগ্রামের হয়ে মেহেদি হাসান রানা নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন শুভাগত হোম এবং ১ উইকেট নেন বিজয়কান্ত।
নদী বন্দর/এসএন