ক্রমশ মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় ক্যান্সার। চিকিৎসা ব্যয়বহুল, কিন্তু সফলতার হার খুবই কম। দেশে বছরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় প্রায় দেড় লাখ মানুষ, যার এক লাখ ২০ হাজারের মতো রোগীর মৃত্যু ঘটে। সেভাবে গড়ে ওঠেনি চিকিৎসা সুবিধা ও অবকাঠামোও। এই বাস্তবতায় আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।
চিকিৎসা ও সেবায় ঘাটতি এবং রোগীর কষ্ট কমানোর বার্তায় এবারের প্রতিপাদ্য, ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’।
আলোকচিত্রী শামসেদ সাদিয়া। এই হাতে চিত্রিত হয়েছে হাজারো মানুষ-প্রকৃতি। ছবি তুলতে ছুটে বেড়িয়েছেন পথে প্রান্তরে। প্রাণপ্রাচুর্য্যে ভরা জীবন এখন আঁধারে ভরা সাদিয়ার। শরীরে বাসা বেধেছে, ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার।
ঘরবন্দি একসময়ের মুক্তবিহঙ্গ। যখন সব কিছু জানা গেলো, তখন ঢের দেরি হয়ে গেছে।
সাদিয়ার মতোই হাজারো মানুষ এই রোগের ভুক্তভোগী।
সঠিক সময়ে শনাক্ত হলে চিকিৎসায় সুফল মেলে। দেরি হলে ভোগান্তি বাড়ে, সুস্থতার হার কমে। হয় মুত্যুর কারণও। প্রতিষেধক উদ্ভাবনে খুব বেশি সফল হয়নি চিকিৎসাবিজ্ঞানও।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, পান-জর্দাসহ ধূমপান, সবজি ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার কম খাওয়া, শারীরিক স্থুলতা, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে রেডিয়েশনসহ কিছু ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগ হতে পারে। মদ্যপান, মাদক গ্রহণের মতো অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনও এর কারণ।
ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল-ইউআইসিসি বলছে, বছরে বিশ্বে ৯৬ লাখ মানুষ এই রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে ঝুঁকির মাত্রা তুলনামূলক অনেক বেশি।
নদী বন্দর/এসএস