1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সরু হয়ে আসছে বেড়িবাঁধ, যে কোনো সময় ভাঙার আতঙ্ক - Nadibandar.com
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
  • ৮০ বার পঠিত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় আবারও বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঝড় ও বৃষ্টি হলেই বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর ৪ নং পোল্ডারের আওতাধীন বলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নদীরক্ষা বাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন একটু একটু করে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীরক্ষা বাঁধটি। 

স্থানীয়রা জানান, বলাবাড়িয়া প্রাইমারি স্কুল থেকে বাবুলাল খেয়াঘাট সংলগ্ন প্রায় ৩০০ ফুট পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। আশপাশের বাড়ি থেকে শিশুদের ভয়ে মা-বাবা ভয়ে বের হতে দিচ্ছেন না। দ্রুত বাঁধটি মেরামত না করা হলে ভেঙে কয়েকশ চিংড়ি ঘেরসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে যেতে পারে। জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে পারে ওই এলাকার কয়েক হাজার পরিবার।

আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়ার আলমগীর কবির, অনূপ কর্মকার ও শফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেকেই জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খোলপেটুয়া নদীর বলাবাড়িয়া এলাকার বেড়িবাঁধ গত পাঁচ বছরে অনেকবার ভেঙে আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ছয় মাস ধরে ওই এলাকার বাবুলালের খেয়াঘাট এলাকায় বাঁধে ভাঙন চলছে।

তারা আরও জানান, ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বর্তমানে প্রায় তিনশ ফুট বাঁধ সরু হয়ে দুই থেকে তিন ফুটের বেশি অবশিষ্ট নেই। বর্তমানে বাঁধের অবস্থা এমন দাঁড়িয়ে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সামনে বর্ষা মৌসুম এখনই যদি বাঁধ সংস্কার না করা না যায় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হোসেন আলী বলেন, গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে বাঁধ ভেঙেছে। বতর্মানে বলাবাড়িয়ে এলাকা তিনশত ফুটের মতো ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এতটাই সরু হয়েছে তার উপর দিয়ে একটা ভ্যান কিংবা সাইকেল চলাচল করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, গত রোববার ওই এলাকা সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে চার বিঘা জমি কেনার চেষ্টা চলছে। জমি না হলে নতুন করে বাঁধ দেওয়া যাবে না।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো-২) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, বাঁধটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। ওই স্থান বাঁধে ভাঙন চলছে। তবে যেহেতু এখন নদীতে ঢেউ নেই সে কারণে স্থানটি অতটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

তিনি আরও বলেন, তারপর বর্ষার আগে বাঁধটি মেরামত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত দিলে মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। 

নদী বন্দর/এসআরকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com