দুই দলের সাক্ষাৎ হয়েছিল গ্রুপ পর্বেই। সেবার কঠিন পরীক্ষা নিলেও বসুন্ধরা কিংসের কাছে ৪-৩ গোলে হারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।
এবারও চমক দেখায় তারা। এগিয়ে যায় ম্যাচের শুরুতেই। তবে প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প লিখে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বসুন্ধরা কিংস। দরিয়েলতন গোমেজের নৈপুণ্যে ৩-১ গোলের জয় পায় তারা।
এক মাসের বেশি সময় পর আজ মাঠে ফিরেছে ঘরোয়া ফুটবল। জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে বিরতি ছিল এতোদিন। ফিরলো ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল দিয়ে। মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেষ আটের প্রথম ম্যাচের শুরুর দিকে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা। ৩৪ তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় তারা। সোমার নেওয়ার কর্নার কিকে হেড দেওয়ার জন্য লাফিয়ে উঠেন ইকেচুকু ইমানুয়েল। বলের নাগাল যদিও পাননি। তবে তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসেরর জালেই বল প্রবেশ করান দরিয়েলতন গোমেজ।
সেই দরিয়েলতনই পরে জোড়া গোল করে নায়ক হিসেবে আবির্ভুত হন। ৪১ মিনিটে রবসন রবিনহোর পাস বেশ চতুরতার সঙ্গে জালে পাঠিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে সমতায় ফেরান এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। বিরতির পর এগিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়ে হয়ে ওঠে বসুন্ধরা কিংস। একের পর এক আক্রমণে চাপ প্রয়োগ করতে থাকা মুক্তিযোদ্ধার ওপর। অবশেষে সেই জট খুলে ম্যাচের ৭৯ তম মিনিটে। রবিনহোর কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন দরিয়েলতন। দুই মিনিট পরই হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। বাঁ প্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়ে এগোতে থাকেন বক্সের দিকে। কিন্তু ততক্ষণে মুক্তিযোদ্ধার চার জন ডিফেন্ডারও তাকে ঘিরে ধরে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে রবিনহোর উদ্দেশে বল বাড়ান তিনি।
ফাঁকায় বল পেয়ে রবিনহো কোনো ভুল করেননি। দুর্দান্ত এক শটে ব্যবধান বাড়িয়ে জয়ের পথটা আরও সহজ করে দেন বসুন্ধরা কিংস অধিনায়ক। বাকিটা সময় আর কোনো চমক দেখাতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। যার ফলে সহজ জয়েই সেমিফাইনালে পা রাখে বসুন্ধরা কিংস।
আগামী ১৮ এপ্রিল কুমিল্লায় তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে খেলবে ঢাকা মোহামেডান। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংসের।
নদী বন্দর/এসআরকে