বিদেশি নেতৃবৃন্দের মধ্যে সবার আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফোন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিতর্কিত কিস্টোন পাইপলাইনের বিষয়ে কথা বলতে তিনি ট্রুডোকে ফোন করবেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। খবর এএফপির।
হোয়াইট হাউসে সাকির প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো হবেন তার (বাইডেনের) প্রথম বৈদেশিক কল।’ তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কিস্টোন এক্সএল তেল পাইপলাইন নির্মাণে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তারা কথা বলবেন।
বাইডেন অফিসে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হল কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের এই বিতর্কিত পাইপলাইন নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত। জাস্টিন ট্রুডো বাইডেনের এই পদক্ষেপকে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এক বিবৃতিতে ট্রুডো বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমরা প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতিকে যেমন স্বাগত জানাই, তেমনি প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তেও আমরা হতাশ। যদিও নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছেন সেগুলো পূরণের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে।’
‘দূষণ কমাতে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়, কভিড-১৯ মোকাবিলায়, মধ্যবিত্তদের জন্য চাকরি তৈরি ও টেকসই অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কাজ করব’, বলেন ট্রুডো।
বাইডেনের আদেশের পরে পাইপলাইন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টিসি এনার্জি বুধবার তাদের চলমান নির্মাণকাজ বুধবার বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কয়েক হাজার মানুষ তাদের চাকরি হারাবেন বলে জানায় তারা।
কানাডা ২০১০ সালে কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ এই প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে ২০১৭ তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন।
কানাডা সবসময় এই প্রকল্পের পক্ষে সমর্থন দিলেও পরিবেশবাদী সংস্থা ও আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো এর তীব্র বিরোধীতা করে আসছে।
নদী বন্দর / জিকে