ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বুধবার (২৮ জুন) যখন যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা, ঠিক সেই সময় স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে কোরআন শরিফ পুড়িয়ে বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছে সুইডেনের পুলিশ। এ নিয়ে ফের সমালোচনার ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বে।
সুইডিশ পুলিশ তাদের লিখিত সিদ্ধান্তে বলেছে, কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি ছিল না, যা ‘বর্তমান আইন অনুসারে অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দিতে পারে’।
এর আগে অন্তত দু’বার কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল সুইডিশ পুলিশ। সেই সময় এ ধরনের বিক্ষোভে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছিল তারা। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশটির একটি আদালত পুলিশের সেই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে রায় দিয়েছেন। এরপরেই বিতর্কিত এই বিক্ষোভের অনুমতি দেয় পুলিশ।
গত জানুয়ারি মাসে সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে উগ্র ডানপন্থিরা। এর নিন্দায় তখন সরব হয় গোটা মুসলিম বিশ্ব। প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশসহ প্রায় সব মুসলিম দেশ।
কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসে বিক্ষোভ। ফাইল ছবি
ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদানের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় তুরস্ক, যে কারণে আজও ইউরোপীয় দেশটি পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হতে পারেনি।
এরপরে ফেব্রুয়ারি মাসে পরপর দু’বার কোরআন পোড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সুইডিশ পুলিশ। এর মধ্যে ছিল স্টকহোমের তুর্কি দূতাবাস ও ইরাকি দূতাবাসের বাইরে কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করার আবেদন।
তবে চলতি জুন মাসের মাঝামাঝি সুইডেনের আপিল আদালত রায় দেন, এসব বিক্ষোভের অনুমতি না দেওয়া পুলিশের ‘ভুল’ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঈদের ছুটির প্রথমদিন বিতর্কিত আবেদনে সায় দেয় পুলিশ।
সুইডিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সারাদেশ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী ডাকা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরেই মসজিদের কাছে পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সূত্র: এএফপি, আরব নিউজ
নদী বন্দর/এসএস