1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চাইলেন নিউরো সায়েন্সের চিকিৎসক - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর, ঢাকা
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। আন্দোলন চলাকালে হাসপাতালে কী ঘটেছে তা উল্লেখ করে তিনি মেখ হাসিনাসহ চারজনের দৃশ্যমান ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষ্য দেন এই চিকিৎসক।

অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আন্দোলন চলাকালীন যখন মাথায় গুলি লেগে হাসপাতালে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা, তখন ডিবি তাদের রিলিজ দিতে মানা করেন। সেই সাথে ডিবি হাসপাতালে এটাও বলে যায়, নতুন করে যেন গুলিবিদ্ধ কোনো আন্দোলনকারীকে ভর্তি না করানো হয়।

এসব অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল কামাল, ওবায়দুল কাদের এবং আরাফাত এ রহমানের দৃশ্যমান ফাঁসি দাবি করেন এই চিকিৎসক।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। এ পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

জবানবন্দি শেষে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করবেন।

এর আগে, এই মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে গত ৩ আগস্ট জবানবন্দি দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। পরে ৬ আগস্ট রিনা মুর্মু ও একেএম মঈনুল হক নামে দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী দেন। ৪ আগস্ট পঙ্গু শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর পারভীন সাক্ষ্য দিয়ে নিজেদের দুর্দশার জন্য শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

এরপর ১৭ আগস্ট সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম জবানবন্দি দেন। আর ১৮ আগস্ট সাক্ষ্য দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।

গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। প্রসিকিউশন এই তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনেছে। আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার বিশাল এই অভিযোগপত্রে তথ্যসূত্র, জব্দ তালিকা, দালিলিক প্রমাণ এবং শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন।

নদীবন্দর/ইপিটি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com