তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘নারী মৈত্রীর’ একটি প্রতিনিধিদল জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে নারী মৈত্রীর পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব ও দাবিগুলো মন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়।
‘নারী মৈত্রীর’ দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
* সব ধরনের পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহনে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
* বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা।
* তামাক কোম্পানির ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
* বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহীন বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
* ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট (এইচটিপি) আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
* সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৯০% এ উন্নীতকরণ) ও প্লেইন প্যাকেজিং-সহ তামাকজাত দ্রব্য মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা।
দাবির প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে একমত পোষণ করেন মন্ত্রী। এ ছাড়াও, তিনি তামাকবিরোধী সব কার্যক্রমে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
‘নারী মৈত্রীর’ প্রতিনিধিদলে ছিলেন—সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি, টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর নাছরিন আকতার, অ্যাডভোকেসি অফিসার মেহেদি হাসান ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার আলফি শাহরীন।
উল্লেখ্য, তামাক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ‘টোব্যাকো এটলাস ২০১৮’-এর তথ্য মতে, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি