ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে এর প্রভাব আমাদের উপরও পড়বে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি থাকতে হবে।
মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে। উচ্চ-মূল্য ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য উন্নত কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তুলতে হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান করতে হবে যেন দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পণ্যগুলো রপ্তানি বাজারে যেন শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন অবরোধ আরোপের ফলে খাদ্য, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব জনজীবনে পড়েছে।
বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে সরকার জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণের চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি স্বল্প আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চাল বিক্রয় করা হয়েছে। পাশাপাশি ওএমএস কর্মসূচিতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ভুক্ত মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা বিক্রয় করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য নিয়মিত বাজার পরিবীক্ষণ করা হচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ভবিষ্যতে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি