টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশিকার (জিআই) সনদ পেতে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য এবং এর জিআই সনদ বাংলাদেশেরই থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভৌগোলিক নির্দেশিকা (জিআই) পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও টেডমার্কস অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। আরও উপস্থিত ছিলেন ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস, পেটেন্ট শিল্প নকশা ও টেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনিম হাসান। অনুষ্ঠানে ১৪টি পণ্যের সনদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ৩১টি পণ্যের জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, যেসব পণ্য জিআই সনদ পেয়েছে এবং অপেক্ষমাণ আছে পণ্যগুলোর কয়েকটি শত বছর, কয়েকটির হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। তাই ইচ্ছে করলেই নকল করা যাবে না। যুগের পর যুগে এসব পণ্যের ব্যবহার করে গেছি আমরা।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অনেক পণ্যে অনেক স্বাবলম্বী। যেমন একসময় কোরবানির পশু পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন দেশের পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানোর পর উদ্ধৃত থাকে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও ভূমিকায় এটা সম্ভব হয়েছে। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সামনে আরো এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এজন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই জিআই সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর ডিপিডিটি। এ সময় টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেতে ভারতের আদালতে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়।
ডিপিডিটির কর্মকর্তারা জানান, ভারতের হাইকোর্টে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। এজন্য ম্যাশন এন্ড এসোসিয়েট নামের একটি ল-ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই মামলা করতে সাহায্য করছে শিল্প ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন।
জিআই পণ্য প্রচার করতে জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানান তিনি। এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টরকে ধন্যবাদ জানান।
নদী বন্দর/এসএইচ