ব্রডগেজ লাইনের জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রাইটস লিমিটেড থেকে যাত্রীবাহী ২০০ বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কিনবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর রেল ভবনে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এ মুহূর্তে আপনারা (ভারতীয় প্রতিষ্ঠান) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সিডিউল নেই। এটা করলে আমাদের সুবিধা হবে, যেন আমরা সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।
অনুষ্ঠানে রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছে। নতুন এ চুক্তির ফলে রেলওয়ের যাত্রী সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা ও যাত্রীসেবা দেওয়া। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভাব হবে।
চুক্তি অনুযায়ী রেলের এসব বগিহবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতিসম্পন্ন। অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব এসব বগি। এসব বগি পরবর্তী সময়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
এছাড়া ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো ও আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বাড়াতে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানায় রেলওয়ে।
বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পে অর্থ সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (১ ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা ধরে)। প্রতিটি বগির দাম ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাসের পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৬ মাসের মধ্যে সব বগি পাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রাইটস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিতাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ডেলিগেশনের হেড অব ডেভেলপমেন্ট ও কো-অপারেশন অ্যান্ড মিনিস্টার কাউন্সিলর ড. মিশেল ক্রোজা প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএইচ