মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে আটকের পর দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সেখানে চলমান পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মিয়ানমারের বিষয়টিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই বহাল রাখতে হবে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
এর আগে, সোমবার সকালে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা গ্রহণ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের পর পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট জানিয়েছেন, গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী।
জরুরি অবস্থার মধ্যেই রাজধানী নাইপিদোতে মোবাইল ফোন, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিওর প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন মায়াবতির সম্প্রচার চালু রয়েছে।
সোমবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি মায়াবতির মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। টেলিভিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
ভারত ছাড়াও মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘও।
সূত্র: এনডিটিভি, আল জাজিরা
নদী বন্দর / এমকে