সাদা পোশাক, বিশাল দায়িত্ব ও ১৪০ কোটি ক্যাথলিক অনুসারীর নেতা হওয়ার বহু আগে হোর্হে মারিও বেরগোলিও ছিলেন কেবলই একজন কিশোর। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সের একটি ছোট্ট পাড়ায় বড় হওয়া এক ছেলে। বয়স তখন মাত্র ১২, তখনই প্রথম প্রেমে পড়েন।
মেয়েটির নাম ছিল আমালিয়া দামন্তে। একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে—মাত্র চার বাড়ি দূরে থাকতেন। ২০২৩ সালে আমালিয়ার বয়স যখন ৭৬ বছর, তখন তিনিই প্রথমবার প্রকাশ করেন সেই লুকায়িত প্রেম কাহিনি।
আমালিয়াকে তরুণ হোর্হে লিখেছিলেন, ‘তোমাকে বিয়ে না করতে পারলে আমি পাদ্রি হয়ে যাবো।’ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমালিয়া বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, আমি সেদিন না করে দিয়েছিলাম।’
কিন্তু হৃদয়ভাঙা মুহূর্ত আর হোর্হের একরোখা সিদ্ধান্ত পরে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছিল।
তাদের সেই প্রেমে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। আমালিয়ার বাবা-মা ওই বন্ধুত্বের তীব্র বিরোধী ছিলেন। এমনকি হোর্হেকে চিঠি দেওয়ায় মেয়েকে মারধর করেছিলেন তার বাবা। আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যমে আমালিয়া বলেছিলেন, ‘আমার বাবা আমাকে মেরেছিলেন, শুধু একটা ছেলেকে চিঠি লেখার জন্য।’
হোর্হের কাছে এটি ছিল শুধু হৃদয়ভাঙার গল্প নয়, ঘটনাটি হয়ে ওঠে এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়। শুরু হয় ধর্মের পথে যাত্রা, যা একসময় তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।
অনেকে বলেন, সেই শৈশবের হৃদয়ভাঙাই হয়তো গড়ে দিয়েছিল তার ভবিষ্যতের মানবিকতা ও সহানুভূতির ভিত্তি। পরে পোপ ফ্রান্সিস হিসেবে পরিচিত হন বিশ্বজুড়ে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য উইক, সিবিএস নিউজ
নদীবন্দর/জেএস