গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানির প্রবল স্রোতে রাতে গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার অন্তত ১৫০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলা ২৭টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনার চর বেষ্টিত ১৬৫টি চরের মানুষের গবাদিপশু প্রধান সম্পদ। বন্যায় বাড়িঘর ডোবার কারণে বন্যার্ত মানুষগুলো গরু, ছাগল, ভেড়া, হাস-মুরগি কোন রকমে উঁচু বালির ঢিবিতে বসবাস করছে। সেখানে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। নিরাপত্তা না থাকায় নৌকা অভাবে তারা গবাদি পশু গুলো উঁচু আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারছে না। চোর-ডাকাতের ভয়ে তারা গবাদি পশুর সাথে গাদাগাদি করে বসবাস করছে।
বন্যার কারণে ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪টি স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১৬৫ মেট্রিকটন জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে।
নদী বন্দর/এবি