এমপি-মন্ত্রীরা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো বিদেশ যাচ্ছেন না। তিনি তার চোখ তো বাংলাদেশেই পরীক্ষা করিয়েছেন। এভাবে যদি আমাদের সংসদ সদস্য (এমপি) এবং মন্ত্রীরা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তাহলে দেশের চিকিৎসা সেবার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি তো জোর করে কাউকে বিদেশ পাঠাচ্ছি না। কেউ যদি তার বাবা বা স্ত্রীকে নিজের পয়সায় বিদেশমুখী করে তাহলে সেখানে তো আমার করার কিছুই নেই৷
আমার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে নিয়ে আসা। মানুষ যেন আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করাতে ভরসা পায়৷ তারা যেন মনে করে এ দেশেও চিকিৎসা আছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে তো বিদেশ থেকেও রোগী আসছে৷
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আমরা কাজ করে আসছি। রোগী এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা দিতেই এ আইনটি করা হচ্ছে৷ শুধু চিকিৎসকদের সুরক্ষা নয় বরং রোগীরাও যেন সঠিক সেবা পায় এবং চিকিৎসায় অবহেলা না হয়; এসব নিয়েই এ আইন করা হচ্ছে৷ এটা এখনো পর্যালোচনা পর্যায়ে আছে৷ আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটা নিয়ে কয়েকটি মিটিংও আমি করেছি। আমি চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব এটাকে পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে৷ সে বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷
আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে। এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সহ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি৷ এখানে আমার পূর্ণ নির্দেশ দেওয়া আছে যাতে কোনোভাবেই স্যালাইনের ঘাটতি না হয়৷
তিনি বলেন, উপরওয়ালা মাফ করুক! আমরা কেউই চাই না ডেঙ্গুতে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। যদি হয়েই যায় তাহলে আমরা মনে করি উপরওয়ালার ইচ্ছায় সেটা সামলাতে পারব৷
নদী বন্দর/এসএইচ