অভিষেকে উজ্জ্বল কাইল মায়ার্স। পুরো টেস্টে একবারের জন্যেও বুঝতে দেননি এটিই তার প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করে সাগরিকায় রীতিমতো দাপট দেখালেন সফরকারী এই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ দিন ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেছিলেন। শেষদিনে সেখান থেকে নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে। খেললেন ৩১০ বলে ২১০ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। লিখলেন জয়ের গল্প। দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে তবেই ছাড়লেন মাঠ।
৩৯৫ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত মাইলফলক গড়েই ম্যাচটা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রায় আড়াইশ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার নজির রয়েছে মাত্র ৪টি। ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শেষ সেশনে খেলা প্রায় ২০ ওভার বাকি থাকতে জয়ের জন্য ৮২ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ বিকেলে টেস্ট ম্যাচকে অনেকটা টি টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। টেস্ট অভিষেকে ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে পূর্ণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি করেন এই বাঁহাতি। তার ব্যাটে ভর করে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবীয়রা। এই জয়ে ১-০’তে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
শেষদিনে অনায়াসে বাংলাদেশি বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান মায়ার্স এবং বোনার। দু’জন মিলে গড়েন ২১৬ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। তৃতীয় সেশন শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং নাঈম হাসান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ৮৬ রান করে ফিরে যান বোনার। এরপর জার্মেইন ব্ল্যাকউডও ফিরে যান দ্রুত। ব্যক্তিগত ৯ রান করে নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি। তবে মায়ার্সকে থামাতে পারেনি কোন বোলারই।
বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া তাইজুল ২টি এবং নাঈম নেন ১টি উইকেট।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪৩০ রান। এরপর ৮ উইকেটে ২২৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
নদী বন্দর / এমকে