জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রস্তাব করাসহ চার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। রোববার (১১ মে) ঢাবি টিএসসি টিচার্স লাউঞ্জে রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এবং জোটের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বিষয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ এর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বিপ্লবী জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারের কাছে প্রস্তাব করবে; বাংলাদেশে জুলাইয়ের চেতনা ধারণকারী সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করবে; ৩ দফা দাবি পূরণে সরকারের পদক্ষেপগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তারা সরকারের কাছে অহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। অন্যথায় তারা তালিকা প্রকাশ করবে।
জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ২ হাজার শহীদের রক্তের ওপরে আমরা আজ দাঁড়িয়ে আছি। খুনি ও সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে গত বুধবার ‘জুলাই ঐক্য’র ঘোষণা করি। যেখানে বর্তমানে ৬০ এরও অধিক সংগঠন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ঢাবি থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বসবভনের সামনে অবস্থান নেই। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় জুলাই ঐক্য। একইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যমুনার সমাবেশ থেকে ছাত্র-জনতা শাহবাগে অবস্থান নেয়; যেখানে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তারা আরও বলেন, শনিবার রাতে দেশের অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’র সঙ্গে মিলে শাহবাগে অবস্থান নেই। আপনারা সকলেই অবগত আছেন গতকাল রাতে কৌশলে কিছু শব্দ ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। আমাদের দাবি ছিল দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। আগামীকাল সোমবার সরকার পরিপত্র ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সরকারের পরিপত্রের ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের ডালপালা ও শেকড় যেখানে বিস্তীর্ণ সব উপড়ে ফেলতে হবে। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে ১৪ দল এবং সকল সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
নদীবন্দর/ইপিটি