শিল্প-কারখানার তরল বর্জ্যে গাজীপুরে তুরাগ নদী এখন মাছ শূন্য, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগব্যাধিতে। নদীটি সুরক্ষায় নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।
এভাবেই শিল্প-কারখানার বর্জ্য পড়ছে তুরাগ নদীতে। পরিবেশ আইনকে তোয়াক্কা না করে অবাধে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলায় নদীটি এখন মাছ শূন্য। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নদী তীরবর্তী মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন কল-কারখানার বর্জ্য এই তুরাগে এসে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে তুরানের পানি সেই আগের মতো আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নদীর মাছ একটাও নাই, সম্পূর্ণ একেবারেই ধ্বংস। যাও কিছু মানুষ কাপড়-চোপড় ধুইয়ে যেতো কিন্তু বিষাক্ত পানির কারণে সবই বন্ধ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে তুরাগ নদীটি দূষণমুক্ত চান।
ভুক্তভোগীরা জানান, অনেক বর্জ্য পড়ে থাকে, এগুলো কেউ পরিষ্কারও করছে না ফলে আরও দূষিত হচ্ছে নদীটি। এই ক্ষতি রোধ করার জন্য শুধু সরকারই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
নদীটি সুরক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধে উদ্যোগের কথা জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমরা অভিযান চালাচ্ছি এবং এরই মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে নদী দূষণের কারণে। এছাড়া নদীতে যারা বর্জ্য ফেলতে তাদেরকে আমরা মনিটরিংয়ের মধ্যে রেখেছি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, নদীটির পাড়ে যেসমস্ত কারখানা রয়েছে ইতিমধ্যে তাদের তালিকাও আমরা প্রণয়ন করেছি। সেখানে কারা কারা ইটিপি ব্যবহার করছে না সে তালিকাও আমাদের কাছে আছে।
জীববৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় তুরাগ নদীটি তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে সেই প্রত্যাশা সকলের।
নদী বন্দর / এমকে