জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে ৬ জনকে হত্যা মামলায় কনস্টেবল সুজনসহ ৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।
৪ আসামি হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
গত রোববার পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেছিলো প্রসিকিউশন।
ওইদিন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আইজিপির কমান্ডে নিরীহ ছাত্র জনতার উপর গুলি ও হামলা চালানোর নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার। যা বাস্তবায়ন করেন সুদীপ কুমারসহ বাকী আসামিরা। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করাই যুক্তিযুক্ত।
এর আগে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ এই মামলায় পলাতক ৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। আইনজীবী কুতুবউদ্দিনকে তাদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামি হলেন শাহবাগ থানার বরখাস্তকৃত পরিদর্শক আরশাদ ও তিন কনস্টেবল সুজন, ইজাজ হোসেন ইমন ও ইজারুল।
গত ৫ আগস্ট চাঁনখারপুলে গুলি করে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম (ফরমাল চার্জ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ২৫ মে আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে অভিযোগটি আমলে নেওয়ার আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
ঢাকা মহানগরীর চাঁনখারপুল এলাকায় এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।
নদীবন্দর/জেএস