দিয়েগো ম্যারাডোনার নন, মারিও কেম্পেসের সতীর্থ ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা যখন প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে, সেই দলের হয়ে খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেট লিওপোলডো লুক।
৭১ বছর বয়সে এসে জীবনের কাছে হার মানলেন এই বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মূলতঃ করোনার কাছেই হেরেছেন সাবেক বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনই জানিয়েছে এ তথ্য। ম্যারাডোনার মৃত্যুর তিন মাস পর এলো লুকের মৃত্যুর খবর।
করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লুক। যদিও হসপাতালে বেশ উচ্ছলই ছিলেন তিনি। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার কারণে বাড়িতে আনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করলেন।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন লিওপোলডো লুক। খেলতেন ফরোয়ার্ড পজিশনে। সেবার বিশ্বকাপে করেছেন ৪টি গোল।
ডেনিয়েল বার্তোনি এবং মারিও কেম্পেসের সঙ্গে আক্রমণভাগে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সেবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষেই প্রথম গোল করেন লুক। ওই ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এছাড়া পেরুর বিপক্ষে ৬-০ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। যে জয় আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিল।
ক্লাব ফুটবলে পুরো ক্যারিয়ারটাই কাটিয়েছেন লাতিন আমেরিকায়। ইউরোপে খেলেননি কখনো। মাউস্টেক স্পোর্টিংয়ের স্ট্রাইকার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে খেলেছেন, রোজারিও সেন্ট্রাল, রিভার প্লেট অ্যান্ড রেসিংসহ আরও কয়েকটি ক্লাবের হয়ে। ব্রাজিলের সান্তোসের হয়েও খেলতে দেখা গেছে তাকে। মেক্সিকোর ক্লাব দেপোর্তিভো টাম্পিকোর হয়েও খেলেন তিনি।