জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে বড় শোডাউন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বড় মিছিল মৎস্য ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে ঢাকা দুই মহানগরের নেতাকর্মীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন— এই মুহূর্তে দরকার, পিআর আর সংস্কার; সংসদের উভয় কক্ষে, পিআর চালু করতে হবে; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; ১৪ দলের কার্যক্রম, নিষিদ্ধ কর করতে হবে।
এর আগে মিছিলপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সেই অনুযায়ী নির্বাচন না হলে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ জন্ম নেবে। সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখতে পারছে না। কোনো চাপের মুখে সরকার শুভঙ্করের ফাঁকির দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দাবি করেছি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে তার ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এখন একটি দল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলছে, এই সংস্কারের আইনি ভিত্তি দেওয়ার কী প্রয়োজন, পরের সরকার এলে সেই সরকার সংস্কার করবে। যত আইন সংস্কার করেন আমরা ক্ষমতায় গেলে তা মুছে দেব। তারা এখনই যদি এসব বলতে পারে তবে তাদের ইচ্ছার মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে।
মিয়া গোলাম পারওয়ার আরও বলেন, তারা আমাদেরকে বলছে আলোচনার টেবিল ছেড়ে আবার মাঠে কর্মসূচি কেন। আমরা বলি, এই সরকার চাপের মুখে শুভঙ্করের ফাঁকির দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে দেশ এক মহাদুর্যোগের দিকে যেতে পারে। বাংলার মানুষ আর ফ্যাসিবাদ মেনে নেবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিন। সাংবিধানিক অর্ডার জারি করুন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতি অকার্যকর করুন।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো— জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
নদীবন্দর/জেএস