বাংলাদেশের ওপর ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করে বন্ধুত্বসুলভ ও সহযোগিতামূলক আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতাভিত্তিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, দাদাগিরির কোনো সুযোগ নেই। ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ও ফারাক্কা ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘পদ্মা বাঁচাও গণসমাবেশ’ এর আগে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেক দেশ তার নিজের স্বার্থ দেখবে এটাই স্বাভাবিক। পদ্মার পানি বণ্টন নিয়ে মূলত সমস্যা, ২০২৬ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। পদ্মার পানি আটকে দিয়ে জীবন-জীবিকা বিনষ্ট করা হয়েছে। দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। তবে নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই ধরনের স্বার্থ হাসিল করা কঠিন হবে।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইচ্ছে করলেই আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে। আমি মনে করি, যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, সেই হিসেবে আরও বেশি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা দরকার।’
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত সরকারের সময়ে উল্টো তারা (ভারত) আমাদের চাপে ফেলেছে। সব নিয়ে গেছে, বিনিময়ে আমাদের কিছু দেয়নি। এটা আওয়ামী লীগ সরকার, হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্টে আমরা কমিটেট। এটা আমাদের রাজনীতি। এখানকার পানির হিস্যা, সীমান্তে হত্যা, আমাদের ব্যালেন্স অব চেইন ঠিক করা এগুলোয় আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতার ভিত্তিতে। তবে, আমাদের ওপর ভারতের দাদাগিরি বন্ধ হোক এটা আমরা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি দল। এর মধ্যে দিয়ে তারা রাজনীতিতে ফায়দা নিতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। আরেকটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে এদের দ্বারা দেশের পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।’
নদীবন্দর/জেএস